প্রজ্ঞার প্রাবরণ

অতীন্দ্রিয় উপলব্ধি ক্ষমতা সম্পন্ন জ্ঞান হলো প্রজ্ঞা। নির্ভেজাল চিন্তামগ্নচিত্তের বিভোর।
জ্ঞান ও প্রজ্ঞা অভিন্ন বিষয় নয়। কোন বিষয়ে তথ্য, সম্যক ধারণা করার মত বোধ হলো জ্ঞান আর সে জ্ঞানকে আত্মোপলব্ধি দ্বারা হৃদয়ঙ্গম করে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার বোধই হলো প্রজ্ঞা। আরো বিস্তারিত বলতে গেলে,কোন কাজের সুফল ও কুফল জানা যদি জ্ঞান হয় তবে সে কাজের কুফল থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখা এবং সুফলের সাথে একাত্ম হওয়া চর্চাই প্রজ্ঞা।
একজন জ্ঞানী চতুর হতে পারেন, অসাধু হতে পারেন, নৈতিক গুণাবলি ধারণে ব্যর্থ হতে পারেন। কিন্তু একজন প্রজ্ঞাবান অবশ্যই তাঁর মাঝে সন্নিবেশন ঘটান জ্ঞান, বুদ্ধি, চারিত্রিক শুদ্ধতার, নীতি-নৈতিকতা, বিনয়, নম্রতা আর ইতিবাচক সাফল্যের। অর্জিত জ্ঞানের সুফল একজন ব্যক্তি নিজের জীবনে প্রতিফলিত করতে সক্ষম হয় অভিজ্ঞতা লাভের মাধ্যমে এবং প্রয়োজন বোধ করেন অন্যের মাঝে সেই জ্ঞানের সুফল ছড়িয়ে দেওয়ার। এ বোধই ব্যক্তিকে পরিণত করে একজন প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিত্বে।
তাই আবশ্যিকভাবে জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি নিমগ্ন হওয়া উচিত প্রজ্ঞা লাভে। তা না হলে অর্জিত জ্ঞানের আত্ম-অহমিকা সত্ত্বাকে দূষিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। জ্ঞানের এ বিশ্বায়নের যুগে প্রত্যেক জ্ঞানী যেন ধারণ করেন প্রজ্ঞার প্রাবরণ। প্রজ্ঞার উত্তরীয় অলংকৃত করুক সকল জ্ঞানীদের – বিনয়ে, নম্রতায় ও চারিত্রিক দৃঢ়তায়।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~
লেখক: শাহরীন চৌধুরী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *