ভাগ্য নির্ধারণে হুবলের তীর নিক্ষেপণ

ইসলাম আবির্ভাবের পূর্ববর্তী যুগকে ‘আইয়ামে জাহিলিয়াহ’ বা ‘ অজ্ঞতার যুগ’ বা ‘বর্বরতার যুগ’ বলা হতো।
এ যুগের মানুষদের জন্য ছিলো না কোন পয়গম্বর বা ধর্মগ্রন্থ। সুনির্দিষ্ট নেতৃত্বের অভাবের কারণেই গোত্রে গোত্রে কলহ-বিবাদে জড়িয়ে পড়তো।

এমনই এক বিবাদে রাগের মাথায় নবীজী (সঃ) এর দাদা আবু মুত্তালিব বিন হাশিম শপথ করেছিলেন তাঁর স্নেহের পুত্র আবদুল্লাহ প্রাপ্তবয়স্ক হলে তাকে নিজ হাতে কুরবানী করবেন।

গোত্রপ্রধান হিসেবে কোন শপথ করলে তখন তা অবশ্যই পালনীয় ছিলো। কিন্তু পিতৃহৃদয় এমন শপথ বাস্তবায়ন করতে সায় দিচ্ছিলো না।

এ সময় মক্কায় অবস্থিত একজন ইহুদী পন্ডিতের কাছে এর প্রতিকার চাইলে তিনি একজন ‘কাহিনা’ র নাম প্রস্তাব করেন। যিনি ভবিষ্যৎ বলতে পারতেন।
(পুরুষ ভবিষ্যতদ্রষ্টাকে বলা হতো – কাহিন)

সে কাহিনার কথা মতো কাবাশরীফের ভেতরে অবস্থিত সর্বপ্রধান মূর্তি হুবলের পাশে সংরক্ষিত ভাগ্য নির্ধারণের তীর ব্যবহার করা হয়।

কাহিনা বলে দেন কিছু সাদকা নির্ধারণ করার পর তীর ছোড়া হলে তীর যদি সাদকার দিকে যায় তবে আবদুল্লাহ মুক্ত।

এরপর নির্দিষ্ট দূরত্বে আবদুল্লাহ ও ১০টি উট জানের সাদকা হিসেবে রাখা হলো। কিন্তু এবারও তীর আবদুল্লাকে নির্দেশ করে।এভাবে প্রতিবার ১০ টি করে করে মোট ১০০টি উট সাদকা দেওয়ার পর তীর এবার ১০০ উটকে নির্দেশ করে।

আর এভাবেই শত্রু গোত্রদের ১০০টি উট প্রদানের মাধ্যমে আবদুল্লাহর জীবন রক্ষা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *