কৃচ্ছ্রতার ঋদ্ধতা

কৃচ্ছ্রতার ঋদ্ধতা
———————-
জুবায়ের হোসেন চৌধুরী

ভরা বাদল বরিষণ সন্ধ্যে ধীর পায়ে তুমি এলে
অলস ভাবনারা উঁকি মারে সহসা হৃৎকম্পন ঠেলে।
কিছুই বলোনা,তাকিয়ে থাকো অপলক আঁখে
হৃদয় মন্দিরে বজ্রের ঝংকার ডাকে।

চারিদিকে ঝুম বৃষ্টির পাংশু অমানিশা
পাণিপ্রার্থনায় কম্পিত এ কায়া মনে অন্যাশা ।
চোখে তোমার সহস্র কথা, মনের ভেতর আরও
কবি হলে বুঝতাম সবই, এর বাহিরেও।

তোমার ছায়ার শিহরণে অকিঞ্চন এ মন
ছুঁতে গিয়েও পলক নামে আমার দু’নয়ন।
বিজন বৃষ্টির টুপটাপ শব্দে টাপুর টুপুর মন
ভিজেছি আমি অনেক আগেই,তোমায় ভেজাব কখন?

ভালোলাগার ভালোবাসি অনুক্ত থেকে যাক
না বলা ভালোবাসারা ধ্রুবধারা পাক।
ভালোবাসার ভব-ভবানী একই পথে চলে
হাজার বছর চলতে থাকুক অনঙ্গ শিখা জ্বলে।

চারু হাসির অন্তরালে, আবেগের ভবতলে
ভাবছো তুমি উদাস মনে, কখনোবা সচেতনে
তোমার যত যাপিত আশা, পাবে কি তা আদৌ ভাষা!
কিছু আভা আবছা হোক, কিছু চাওয়ায় কৃচ্ছ্রতা থাক
না পাওয়ায় অনেক পাওয়া ঋদ্ধতা পাক।

রচনার স্থান, কাল:
কুষ্টিয়া
১৪ জুন ২০২০

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *